সর্বশেষ আপডেট সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ | ইমরান
নিজস্ব সংবাদদাতা:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিটি জেলার মতো কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার এলাকায় লাইসেন্স প্রাপ্ত দেশী মদের দোকান রয়েছে-যা তৈরী হয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কেরু কোম্পানী দ্বারা দর্শনায় এবং অভিজ্ঞ ফার্মাসিষ্ট দ্বারা গুনগতমান পরীক্ষা করে সারাদেশে বিতরণ ও বিপনন করা হয়। অথচ কিশোরগঞ্জে একটি সিন্ডিকেট আইন বহির্ভূতভাবে মদের ড্রাম স্টক করে মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
জানাযায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তিগণ, হরিজন সম্প্রদায় ও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী মুসলিম ব্যক্তিগণ এই মদের বৈধ ক্রেতা। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বড় বাজারের দোকানের সামনে নামে মাত্র একটি সাইনবোর্ড লাগানো আছে। প্রায় বিগত ২ বৎসর যাবৎ কিশোরগঞ্জে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিপোর স্বত্ত্বাধিকারী শ্রী গুড্ডু ঘোষ গং অভিনব কৌশলে সপ্তাহে মাত্র একদিন আকস্মিমভাবে দোকান খুলে এবং নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কালোবাজারে অধিক চড়া মূল্যে মদ বিক্রির জন্য নীতি বহির্ভূতভাবে হরিজনদেরকে ড্রাম ড্রাম মদ দিয়ে দেয়। ফলশ্রতিতে সপ্তাহে ৬দিন দোকান বন্ধ থাকায় গ্রাহকদেরকে সরকার নির্ধারিত ৮০ টাকা মূল্যের মদ ১০০-১২০ টাকায় ক্রয় করতে হয়। এভাবে প্রতিদিন অন্যায় ভাবে লাখ লাখ টাকা রোজগার করছে মদের ডিপো মালিক ও হরিজনদের একটি সিন্ডিকেট। শুধু তাই নয় অধিক লাভের জন্য খোলা বাজারে বিক্রির সময় এসব মদে স্পীড, ঘুমের ট্যাবলেট ও নিশাদলের মতো রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত করা হয়। এতে অনেক সময় মদ বিষাক্ত হয়ে যায় এবং প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সপ্তাহে একদিন মদের দোকান বন্ধ থাকার কথা; সেখানে সারা সপ্তাহে হয়তবা একদিন লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দোকান খোলা হয় এবং ঐ দিন আইন বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন খুচরা মদ বিক্রেতা ড্রাম ড্রাম মদ নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের মদ্যপানের জন্য ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লিটার পাওয়ার অনুমোদন লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু এসব লাইসেন্সের দোহাই দিয়ে খুচরা মদ বিক্রেতারা প্রতিজন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ২০০০ লিটার মদ ক্রয় করে। আর কিশোরগঞ্জ ডিপোর মালিক এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরণের অপরিশোধিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণ করে দ্রব্যের মানকে নি¤œমানে পরিণত করে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ ডিপোর সংলগ্ন মোরগমহলের চা-স্টলের মালিক ফেরদৌস মিয়ার নিকট দোকান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে সে অকপটে জানায়, ৮-১০দিন পরপর দোকান খোলা হয়। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী পান-সিগারেটের দোকানী স্বপন সরকারের বক্তব্য একই ধরনের।
এতে দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, ডিপোর মালিক গুড্ডু ঘোষ গং এবং খুচরা মদ বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটটি কালোবাজারে অধিক লাভে মদ বিক্রির জন্য অনৈতিক ও ইচ্ছাকৃতভাবে সপ্তাহের ছয় দিনই দোকান বন্ধ রাখে।
এ ব্যাপারে আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যথাযথ কর্তৃপক্ষের এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।