সর্বশেষ আপডেট জুলাই ২৭, ২০২১ | ইমরান
শাহ মোঃ সারওয়ার জাহান
কিশোরগঞ্জ সদর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় অপরাধ তূলনামূলক কম ছিল। একান্ত সাক্ষাৎকারে এ তথ্য প্রদান করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর ও পাকুন্দিয়া থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম হোসেন।
জানাগেছে জেলার বৃহৎ এলাকা নিয়ে এ দুটি থানা এলাকায় দুটি পৌরসভা ও একুশটি ইউনিয়ন রয়েছে।
সদর থানার অধিনে দুটি পুলিশ ফাঁড়ি পাকুন্দিয়া থানার অধিনে একটি তদন্ত কেন্দ্র রয়েছে।
জুন/২১ হতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদক,মারামারি, নারী-শিশুনির্যাতন,চুরি- ছিনতাই বিষয়ে সদর থানায় ৪১ টি ও অপরদিকে পাকুন্দিয়া থানায় রুজুকৃত মামলার সংখ্যা ২৮ টি।
করোনা মহামারী তে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে কমে এসেছে। অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা ছিল বেশী । জেলা পুলিশ সুপারের সার্বিক নির্দেশনায় পরিকল্পিত ভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ফলশ্রুতিতে এ সময়ে অপরাধ সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। এ প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহিম হোসেন বলেন পৌরসভার ভিতরে ট্রাফিক সিষ্টেমে স্হানীয় যান চলাচল এখনো করছে ঠিক আছে কিন্তু ভ্রাম্যমাণ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও পুরাতন স্টেডিয়ামের সামনে পুলিশ তল্লাশী চৌকি বসিয়ে গাড়ী, অটোরিকশা , মোটরসাইকেল , টমটম, সিএনজি সাময়িক ভাবে আটক করে রাখা হচ্ছে। সতর্কীকরন করতে মাস্ক বিতরণ করা হয়। থানা পুলিশকে সার্বক্ষণিক তৎপর রাখার পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ কে ও এ দূর্যোগকালিন সময়ে জনগনের কাজে লাগানো হয়েছে। এ প্রতিনিধি স্হানীয় তামাকজাত দ্রব্য ও বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের ফলে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব হারানোর বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপযুক্ত ব্যবস্হা নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
ভবিষ্যতে ও এ সার্কেলের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ঘটাতে ও স্থিতিশীল রাখতে প্রায়োগিক দিকের উপর বিভাগীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলের পরামর্শ গ্রহন করে আরও এগিয়ে নেয়া হবে।